ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

| |

ড্রাগন ফল (Hylocereus sp) বাংলাদেশে ফল চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় একটি ফল। এটি দ্রুত বর্ধনশীল ক্যাকটাস প্রজাতির বহুবর্ষী উদ্ভিদ। পৃথিবীর অনেক দেশে ফল উৎপাদন ছাড়াও শোভা বর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবেও এর চাষ করা হয়। আজ  ড্রাগন ফলের উপকারিতা বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা করবো। 

অনিন্দ্য সন্দর ফলের কারণে একে “সম্ভ্রান্ত নারী” অথবা “রাতের রাণী” নামেও ডাকা হয়। প্রসঙ্গত এর ফল রাতে ফোটে এবং সকালে বন্ধ হয়ে যায়। ফলের কলি আসার পর থেকে সাধারণত ১৪—১৫ দিনের মাথায় ফল ফোটে। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত  ৫-৭ ধাপে ফুল আসে। ফলের ন্যায় এর ফলের আকতিও অদ্ভত সন্দর।

ফলের গায়ে লম্বা আশ (বতি) থাকার কারণে একে ড্রাগন ফল নামকরণ করা হয়েছে। এই ফলের সবচেয়ে বড় সবিধা হলো একবার গাছ রোপণ করে অন্তত ২০ বছর ফল পাওয়া যায় এবং হেক্টরপ্রতি ১৬০০ এর অধিক গাছ রোপণ করা যায়। সঠিক পরিচর্যা করলে ২য় বছর থেকেই ফল আসে। ফলের বাজার মল্য উচ্চ হওয়ায় চাষাবাদ লাভজনক।

এটি মলত পাকা ফল ও শরবত হিসাবে খাওয়া হয়। অত্যন্ত আকর্ষণীয় রঙ এর কারণে এর শরবত জনপ্রিয়। এ থেকে জ্যাম, জেলি, জস, আইসক্রিম ও ক্যান্ডি তৈরি করা যায়। লাল রঙের ড্রাগন ফল এন্টি—অক্সিডেন্ট সমদ্ধ। এছাড়াও এটি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, লাইকোপেন, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম সমদ্ধ।

সম্ভাবনাময় এই ফলের চাষ কষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীবন্দ কয়েক বছর যাবত গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে বাছাইয়ের মাধ্যমে বারি ড্রাগন ফল—১ নামে একটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। যা বারি ড্রাগন ফল—১ নামে ২০১৪ ইং সালে জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তক মক্তায়িত করা হয়।

উৎপত্তি ও বিস্তার:

মেক্সিকো এবং দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা ড্রাগন ফলের উৎপত্তি স্থান। বাংলাদেশে ঢাকা, সাভার, উত্তরাঞ্চল, চট্টগ্রাম এবং পাহাড়ী অঞ্চলে ড্রাগন ফলের চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে ড্রাগন ফল মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, শ্রীলঙ্কা, ইসরাইল, নিকারাগয়া, অষ্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা সহ পথিবীর অনেক দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা:

ড্রাগন ফল বিভিন্ন ধরনের পষ্টি উপাদান সমদ্ধ। যা সস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

  •  ভিটামিন—বি খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।
  • ক্যালসিয়াম মজবত দাত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে।
  • হৃদরোগের ঝকি কমায়।
  • শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • ফলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ খবই কম তাই ডায়োবেটিক রোগীরাও ফল খেতে পারে।
  • ফলে প্রচর পরিমাণে আশ থাকায় কোষ্টকাঠিন্য দর করতে সাহায্য করে।
  • রঙ্গিন ড্রাগন ফলে লাইকোপেন নামক উপাদান থাকে যা জরায় ক্যান্সারের ঝকি কমায়।
  • এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের স্বাভাবিক বার্ধক্য বিলম্বিত করে।
  • ত্বকের ভাজ পড়া বন্ধ করে।
  • ড্রাগন ফল, শশা এবং মধুর মিশ্রণ মখে ব্যবহার করলে মখের রোদ পোড়া দাগ দর করে এবং লাবণ্যতা বদ্ধি করে।
  • এছাড়া যারা চলের রঙ ব্যবহার করেন তাদের চলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ড্রাগন ফলের পেষ্ট ব্যবহার করা হয়।
Previous

ডিমের রেসিপি : ডিম দিয়ে বেগুন ভর্তা

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ গুলি কি? ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম

Next

Leave a Comment