27 C
Dhaka
Tuesday, September 16, 2025
spot_img

বিভিন্ন রোগের সমাধানে কাঁঠালের পুষ্টিগুন

গ্রীষ্মকাল মানেই অসহনীয় গরম। গ্রীষ্ম যতই বেদনাদায়ক হোক না কেন ফলাহারের জন্য এর কোন তুলনা নেই। গরমে ঘেমে গলদঘর্ম হওয়ার পরও সামনে বিভিন্ন ফলে সাজানো থালা দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। কাঁঠালে ফলের রয়েছে নানা পুষ্টি ও স্বাস্থ্যগুন। আসুন জেনে নিই কাঁঠালের বিভিন্ন উপকারিতা ও কাঁঠালের পুষ্টিগুন সন্মন্ধে।

গরম কালেই নানা সুস্বাদু ফলের যোগান মেলে। আর এই স্বাদের নিরিখে গ্রীষ্মের যে তিনটি ফল সবচেয়ে এগিয়ে আছে সেগুলো হলো আম, লিচু ও কাঁঠাল। আম ও লিচু নিয়ে অনেক বিলাসিতা ও এগুলো স্বাদে এগিয়ে থাকলেও কাঁঠাল একটু বঞ্চিতদের দলেই পড়ে। এই ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে কেউ তেমন অবগত নয়।

কাঁঠাল পুষ্টিগুণ:

  • কাঁঠাল খেতে মিষ্টি হলেও এই ফল খেয়ে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। বরং শরীরে শক্তি যোগাতে এর জুড়ি মেলা ভার।
  • এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম যা হাড় শক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • কাঁঠাল ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় হজমশক্তি বাড়াতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
  • এই ফলে রয়েছে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম যা শরীরের ইলেকট্রলাইটসের  ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্ট ভালো থাকে।
  • কাঁঠলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং ভিটামিন বি৬। কিন্ত এতে কোন কোলেস্টেরল নেই।
  • এই ফলে আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন যা চোখ ভালো রাখে।

কাঁঠালের পুষ্টিগুন

  • উচ্চ মানের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ফল হলো কাঁঠাল। এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি টিউমার ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
  • কাঁঠলে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকার ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে এবং বলিরেখা কমে।
  • কাঁঠলে আয়রন থাকে যা রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। যারা রক্ত স্বল্পতায় ভূগছেন তাদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত।
  • এই ফল নিয়মিত খেলে পাইলস ও কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কম থাকে।

কাঁঠালটিতে আপনার প্রয়োজনের প্রায় প্রতিটি ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে, পাশাপাশি একটি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।

এক কাপ কাঁঠাল ফল নিম্নলিখিত পুষ্টি সরবরাহ করে :

  • ক্যালোরি: ১৫৫
  • কার্বস: ৪০ গ্রাম
  • ফাইবার: ৩ গ্রাম
  • প্রোটিন: ৩ গ্রাম
  • ভিটামিন এ: আরডিআইয়ের ১০%
  • ভিটামিন সি: আরডিআইয়ের ১৮%
  • রিবোফ্লাভিন: আরডিআইয়ের ১১%
  • ম্যাগনেসিয়াম: আরডিআইয়ের ১৫%
  • পটাশিয়াম: আরডিআইয়ের ১৪%
  • তামা: আরডিআইয়ের ১৫%
  • ম্যাঙ্গানিজ: আরডিআইয়ের ১৬%

কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই উপকারী । কাঁঠালের পুষ্টিগুন কাঁচা পাকা উভয় ধরণের আছে।  কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন ফলটি। কাঁঠালের বিচিতেও রয়েছে অনেক পুষ্টিমান। তাই কাঁঠাল খাওয়ার পর বিচিগুলো সংরক্ষণ করে বিভিন্ন পুষ্টিমান গ্রহণ করে সুস্থ থাকুন।

প্রিয় পাঠক, আপনিও স্বাস্থ্য কথা অনলাইনের লেখক হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইল ,ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং ছবিসহ মেইল করুন swasthakotha@gmail.com এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে। আমরাও আপনার উপর কৃতজ্ঞ থাকবো।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

2,201FansLike
3,102FollowersFollow
1,250SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ