প্রায় প্রতি বছর অনেক মানুষ আমাদের দেশ থেকে ভারতের ভেলোরে চিকিৎসা করানোর জন্য যায় । ভেলোরে চিকিৎসা খরচ কম এবং ভাল মানের চিকিৎসার জন্য দিন দিন ভারতের ভেলোরে চিকিৎসার উপর বাংলাদেশীদের বিশ্বাস এবং আস্থা বেড়েই চলছে। কিন্তু ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ভারতে চিকিৎসার সিস্টেম সম্পর্কে আমাদের ধারণা নাই তাই প্রথম বার ভারতে গিয়ে আমরা অনেক কিছুই বুঝি না।
আজ আমি আপনাদের ভেলোরে Christian Medical College, Vellore ( CMC ) কিভাবে চিকিৎসা করাবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করব। এবং ধীরে ধীরে ভারতের সব হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।
ভেলোরে চিকিৎসা কিভাবে করাবেন এবং চিকিৎসা খরচ:
ভেলোরে চিকিৎসা করানোর জন্য অবশ্যই মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারত গমন করতে হবে। ভুল করেও টুরিস্ট কিংবা অন্য কোন ভিসায় চিকিৎসা করতে যাবেন না তবে নরমাল চেকআপ করতে পারেন। কারন অন্য কোন ভিসায় চিকিৎসা করাতে গেলে আপনাকে অনেক সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে। তাছাড়া অন্য ক্যাটাগরিতে ভিসা করে ভারত গেলে শুধু ডাক্তারই দেখাতে পারবেন কিন্তু কোন প্রকার অপারেশান, হাসপাতালে ভর্তি, ক্যান্সার এর রোগীদের কেমো, কিংবা স্পেশাল কোন ইঞ্জেকশন পুশ করবে না। শুধু চেক আপ করাতে পারবেন। কোন কোন হাসপাতাল রোগীই দেখে না। সুতরাং মেডিকেল ভিসার ভারত যাওয়া জরুরী যেহেতু আপনি ডাক্তার দেখাতে যাবেন।
অনলাইন ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন:
- আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৬ মাস থাকতে হবে।
- ভারতের হাসপাতাল থেকে আপনাকে ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
- আপনি কি করেন তার প্রমাণাদি লাগবে। যেমন আপনি ব্যবসায়ি হলে ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।
- সর্বোচ্চ ৩ জন রোগীর সাথে এটেনডেন্ট হিসেবে যেতে পারবেন।
- ভারতীয় দুতাবাসের ভিসা ফি প্রতি পাসপোর্ট ৮৫০ টাকা।
ইন্ডিয়ান ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট কিভাবে নিবেন :
নির্দিষ্ট হাসপাতালের ওয়েবসাইটএ গিয়ে আপনি ডাক্তারের এপয়ন্টমেন্ট নিতে পারেন। মনে রাখবেন শধুমাত্র ভেলোরে টাকা দিয়ে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। বাংলাদেশে যেমন ১০০ টাকা দিয়ে ডাক্তারের সিরিয়াল দিতে হয় । ভেলোরে আপনাকে প্রথম বার ডাক্তার দেখানোর জন্য ইন্ডিয়ান ৯০০ টাকা দিয়ে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। মানে তারা প্রথম দিনের এপয়েন্টমেন্ট টাকাটা আগে থেকে অ্যাডভান্স নিয়ে নিবে। আপনার প্রথম দিনের কোনো ফী লাগবে না।
আপনি এই লিংক থেকে CMC এর এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ক্রেডিট অথবা মাস্টার কার্ড থাকতে হবে https://clin.cmcvellore.ac.in/
আর ভেলোর ছাড়া অন্যান্য হসপিটালে ইমেইল করলেই আপনাকে একটা ভিসা ইনভিটেশন লেটার পাঠিয়ে দিবে যেটা দিয়ে আপনি ভিসা করতে পারবেন। সেক্ষেতে ভিসা হওয়ার চান্স একটু কম থাকে।
ভারতীয় ভিসা পাওয়ার পর আপনার করনীয়ঃ
বাস, ট্রেন, এয়ার এই তিন ভাবে ভারত যেতে পারেন। ঢাকা থেকে বাস এ সরাসরি কলকাতা যেতে পারেন। তার মধ্যে গ্রিন লাইন পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, দেশ পারিবহন , শ্যামলী পারিবহন এর সার্ভিস খুবই ভাল। আর আপনাকে নামিয়ে দিবে কলকাতা এর মারকুইস স্ট্রিট এ। আর ট্রেনে যেতে হলে ভিসা পাওয়া পর আপনাকে টিকেট নিতে হবে। টিকেট আপনাকে কমলাপুর স্টেশন থেকে সংগ্রহ করতে হবে। টিকেট এর দাম 3530 টাকা থেকে শুরু। আর ট্রেনএ যাত্রা করলে আপনাকে কলকাতা ষ্টেশনে নামিয়ে দিবে। যেটা চিতপুর স্টেশন নামে পরিচিত। আর ফ্লাইট সরাসরি চেন্নাই চলে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভাড়া হবে 12000 (আনুমানিক )টাকার উপরে।
ইমিগ্রেশনে আপনার ককরনীয়:
বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনু্যায়ী আপনাকে ট্রাভেল টেক্স দিতে হবে। আপনি চাইলে সোনালী ব্যাংক এর যে কোন শাখা থেকে কেটে নিতে পারেন। অথবা ইমিগ্রেশনে গিয়েও পে করতে পারেন। মূল্য হবে ১০০০ টাকা। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন আপনার পাসপোর্ট ভিসা ভাল ভাবে দেখার পর আপনার পাসপোর্ট এ একটি সিল দিয়ে দিবে। যেটা বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পার হওয়ার প্রমান হিসেবে দেখা হয়। কাজ শেষে আপনি ইন্ডিয়ার ইমিগ্রেশন এ প্রবেশ করুন।
প্রথমে আপনার লাগেজ চেক করার পর, আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। এখানে আপনার নাম, পাসপোর্ট নম্বর এবং আপনি কোথায় যাবেন তা ফিলাপ করতে হবে। আর ৫০ টাকা দিয়ে আপনি ফরম ফিলাপ করিয়ে নিতে পারবেন। আপনি জিনেও এই কাজটি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার কোনো চার্জ লাগেব না। এই কাজ শেষ করার পর ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন আপনার ছবি তুলবে এবং আপনার পাসপোর্টে সিল দিয়ে দিবে প্রমাণ হিসেবে।
ইমিগ্রেশন পার হবার পর কিভাবে কলকাতা যাবেনঃ
ইমিগ্রেশন পার হবার পর আপনি চাইলে বাস অথবা ট্রেন দুভাবেই কলকাতা যেতে পারবেন। বাস আপনাকে সরাসরি কলকাতা মারকিউস স্ট্রিট(নিউ মার্কেট) এ নামিয়ে দিবে।ভাড়া হবে ২৫০রুপি। আর ট্রেন এ প্রথমে আপনাকে সি এন জি দিয়ে বনগাঁ স্টেশন যেতে হবে ভাড়া হবে ৩০ রুপি। বনগাঁ স্টেশনে নামবার পর আপনাকে দমদম অথবা শিয়াল দহ এর টিকেট নিতে হবে ভাড়া হবে ২০ রুপি। ট্রেনে প্রথমে দমদম স্টেশন আসবে তারপর শিয়াল দহ।
যদি আপনি শিয়ালদহ স্টেশনে নামেন তাহলে স্টেশন থেকে নেমে প্রি পেইড টেক্সিতে সরাসরি নিউ মার্কেট চলে যেতে পারেন। আর যদি দম দম স্টেশনে নামেন তাহলে প্রথমেই আপনি মেট্রো (পাতাল ট্রেন)এর টিকেট নিয়ে নিন।ভাড়া হবে ১০ রুপি। আপনাকে নামতে হবে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে। যাকে বলা হয় নিউ মার্কেট, ধর্মতলা। আর ফ্লাইট এ দমদম এয়ারপোর্ট এ নামার পর নিউ মার্কেট আর টেক্সি নিয়ে নিন ভাড়া হবে ৫০০ রুপি।
কলকাতা ছোট বড় মিলিয়ে অনেক ধরনের হোটেল আছে। আপনি আপনার পছন্দ মত হোটেল এ উঠতে পারেন। ৬০০ রুপি থেকে ২৫০০ রুপি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর নিউ মার্কেট এর আসে পাসে অনেক খাবার হোটেল আছে যেখানে কম টাকায় খাবার খেতে পারবেন।
কলকাতা থেকে ভেলোর ট্রেন ভাড়া:
টিকিট এর জন্য আপনাকে ফেয়ারলী প্যালেস যেতে হবে। আপনাকে নিউ মার্কেট / ধর্ম তলা থেকে হাওড়া এর বাস এ উঠতে হবে। পথেই আপনি ফেয়ারলী প্যালেস বাস স্টপ পাবেন। ভাড়া হবে ১০ রুপি। অবশ্যই মূল পাসপোর্ট সাথে নিবেন এবং পাসপোর্ট, ভিসা এর ফটোকপি। এছাড়াও আপনি নিউ মার্কেট এ এজেন্টদের কাছ থেকেও টিকেট নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে হাওড়া টু চেন্নাই ট্রেন ভাড়া ৫০০ রুপি এর মত বেশি পড়বে। সে ক্ষেত্রে আপনি ঝামেলা ছাড়া টিকেট পাবেন। ট্রেনের উপর নির্ভর করে ভাড়া ২৬০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ঢাকা টু চেন্নাই বিমান ভাড়া ২০২৪:
ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস , ইন্ডিগো এয়ারলিনের বিমানে আপনি চেন্নাই যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে কোলকাতা থেকে কান্নেক্টরিং বিমানে চেন্নাই যেতে হবে তাই যাত্রা পথে ৫ থেকে ১২ ঘন্টা বিরতি থাকতে পারে। ভাড়া ১২০০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তাছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে চেন্নাইয়ের ওয়ান ওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ১২,৩৯৯ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১৯,৮৯৩ টাকা নির্ধারণ করেছে। (সব ধরনের ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ).
বিঃদ্রঃ বিমান ভাড়া নির্ভর করে সময় ও পরিস্থিতি এবং সিজন বুঝে। আপনি নির্দিষ্ট বিমান কোম্পানির ওয়েবসাইট এ গিয়ে দেখে নিতে পারেন আজকের ভাড়া কত। আপাতত করোনার জন্য ভাড়া একটু বেশি।
হাওড়া টু কাটপাটি /চেন্নাই ট্রেন যাত্রা :
চেন্নাইয়ের ট্রেন সাধারণত হাওড়া স্টেশন এর ১৮ – ২৮ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনের টাইম এর ১ ঘন্টা আগে স্টেশনে পৌছানোর চেষ্টা করুন। কারন হাওড়া স্টেশন অনেক বেশী ব্যস্ত আর এখানে অনেক যাত্রীর ভিড়।
আপনার আগে থেকেই শুকনো খাবার, পানি নিয়ে নেয়া উচিত কারন ট্রেনে দাম অনেক বেশি। ট্রেনে উঠার পর আপনার লাগেজ সিট এর নিচে ভাল করে বেঁধে নিন পারলে শিকল এবং তালা চাবি নিয়ে নিন। আর রাতের বেলায় টাকা এবং পাসপোর্ট সাবধানে রাখবেন।
ভেলোরে স্টেশনের নাম কাটপাডি। আমাদের ঢাকা স্টেশনের নাম যেমন কমলাপুর। হাওড়া থেকে সরাসরি কাটপাডি স্টেশনের ট্রেন আছে।আপনি চাইলে সরাসরি কাটপাডির টিকিট নিতে পারেন। যদি কাটপাডি স্টেশনের না পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে চেন্নাই হয়ে কাটপাডি যেতে হবে।
কাটপাডি স্টেশনে নামার পর সি এন জি নিয়ে CMC Hospital. ভাড়া নিবে ১৫০ রুপি। যদি কোন কারনে ট্রেন না পান তাহলে চেন্নাই স্টেশন থেকে বের হয়ে সি এন জি নিয়ে ভেলুর বাস স্ট্যান্ডে চলে যান। ভাড়া নিবে ১০০ রুপি। আর বাস এ ভাড়া নিবে ১২০-৩০০ রুপি। বাস সরাসরি আপনাকে CMC Hospital এর পাশে নামিয়ে দিবে।
চেন্নাই থেকে ভেলোর যাওয়ার উপায়:
চেন্নাই থেকে ভেলোরে আপনি ৩ ভাবে যেতে পারবেন। চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে থেকে সরাসরি ট্রেন পাবেন। আর চেন্নাই স্টেশনে নামার পর প্রথমে আপনি হেল্প বুথ এ যান। আপনি হেল্প বুথ থেকেই জানতে পারবেন টিকেট কোথায় পাবেন এবং কোন প্লাটফর্ম থেকে কাটপাডি এর ট্রেন ছাড়বে।এক্সপ্রেস, লোকাল দুই ট্রেনই পাবেন।ভাড়া নিবে ৭৫ রুপি।
তাছাড়া আপনি চেন্নাই সেন্ট্রাল বাসটেন্ড থেকে ভেল্লোরের বাস পাবেন। ভাড়া নিবে ১৫০ থেকে ৩০০ রুপি।
আপনি চাইলে কার রিজার্ভ করে যেতে পারবেন ভেল্লোরে। সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ১৫০০ রুপি থেকে ২০০০ রুপি পর্যন্ত।
ভেলোর হোটেল ভাড়া:
মনে রাখবেন আপনি CMC Hospital এর যত কাছে থাকবেন আপনার ভাড়া তত বেশি হবে। আর CMC হস্পিতাল এ ট্রিটমেন্টে এর সময় একটু বেশি লাগে তাই সেভাবেই হোটেল নিতে হবে।
আপনি ২০০ রুপি থেকে শুরু করে ২৫০০ রুপি পর্যন্ত দামের হোটেল পাবেন। ভেলুরে ছারপোকার উপদ্রব খুবই বেশি তাই হোটেল নেবার আগে ভাল করে যাচাই করে নিন। আপনি সায়দাপিঠ এরিয়াতে ভাল হোটেল পাবেন। সায়দাপিঠ থেকে CMC ৫ মিনিটের রাস্তা। তাছাড়া গান্ধী রোডেও ভালো হোটেল পাবেন।
ভেলোরে কিভাবে খাবার খাবেন :
ভেলুরে বাঙালি খাবারের জন্য কিছু হোটেলে পাবেন খাবারের মান মোটামোটি আর দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। আর ভেলুরে সব হোটেলেই রান্না করে খাবারের ব্যবস্থা আছে এবং সবাই তাই করে। আপনি গ্যাস, রান্না করার বাসনপত্র সবই ভাড়ায় পাবেন।
এবার ডাক্তার দেখানোর প্রক্রিয়া:
ডাক্তার দেখানোর আগে আপনাকে কিছু কাজ আগে থেকে করতে হবে। যদি আপনি আগে থেকে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যান তার পরেও আপনাকে এই কাজ গুলি করতে হবে সবার আগে। সবার আগে আপনাকে 900B International Counter এ যেতে হবে। যদি না চেনেন তাহলে যে কোন সিক্যুরিটি গার্ডকে আপনি জিজ্ঞেস করুন।
900B Counter এ আপনার মূল পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যাবেন। ওইখানে আপনাকে এপয়েন্টমেন্ট দিবে। যদি আপনার এপয়েন্টমেন্ট অনেক দেরিতে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি সরাসরি মূল পাসপোর্ট নিয়ে সিলভার গেটে চলে যান। ওইখানে আপনার এপয়েন্টমেন্ট এগিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু সিলভার গেটে রোগীকে যেতে হবে সাথে মূল পাসপোর্ট অবশ্যই নিয়ে যাবেন।
900B Counter থেকে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট দিবে যার মধ্যে একটি থানায় নিয়ে যেতে হবে। আর আপনি যে হোটেলে থাকবেন সেখান থেকে আপনাকে একটা ডকুমেন্ট দিবে যেটার নাম CC. Hospital এর ডকুমেন্ট এবং CC নিয়ে আর সাথে ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে থানায় চলে যান । এই কাজটা অবশ্বই করতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে তামিল নাডু সরকার আপনার কোন অভিযোগ ভবিষ্যতে গ্রহণ করবে না।
আপনাকে যে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিবে সেখানেই টাইম দেয়া থাকবে সেই মোতাবেক আপনি হাস্পাতালে চলে যান। আর পারলে আগে থেকেই বিল্ডিং এবং রুম নাম্বার জেনে নিন।
ভেলোর দর্শনীয় স্থান :
ভেলোরে দর্শনীয় স্থান বলতে মূলত দুটি এর মধ্যে সবচেয়ে সবচেয়ে নামকরা হচ্ছে গোল্ডেন টেম্পল আরেকটি হচ্ছে ভেলোর ফোর্ট , অনেকে আবার ভেলোর ফোর্ট কে টিপু সুলতান ফোর্ট বা ভেলোর টিপু সুলতান বলে।
স্বর্ণ মন্দির ভেলোর:
ভেলোরের স্বর্ণমন্দির কে বলা হয় লক্ষীনারায়ন গোল্ডেন টেম্পল । এই লক্ষীনারায়নি গোল্ডেন টেম্পল ভেলোর শহর থেকে প্রায় 30 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আপনি সিএনজি তে যেতে পারেন আবার বাসে যেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে ৩০ থেকে ৫০ রুপি। যদি পার্সোনাল কার/ মহেন্দ্রা তে যেতে চান তাহলে ৩০০ টাকা ভাড়া লাগবে।
এখানে গোল্ডেন টেম্পল বলতে পুরোটা মন্দিরটি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি আর এর ভিতরে একটি লক্ষী লক্ষীনারায়নির মূর্তি আছে যেটা প্রায় আনুমানিক ৮৬ ভরি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা।
স্বর্ণমন্দির ভিতরে ঢুকতে কোন ধরনের চার্জের প্রয়োজন হয়না কিন্তু আপনি সাথে আপনার মোবাইল , জুতা এবং দিয়াশলাই কিংবা,ইলেকট্রনিক কোন ধরনের ডিভাইস নিয়ে স্বর্ণ মন্দিরে ঢুকতে পারবেন না সেজন্য আপনাকে যেটা করতে হবে মন্দিরের পাশেই দেখবে কিছু কাউন্টার আছে যারা আপনার জুতা , ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস জমা নিবে এবং ১০ টাকা এর বিনিমিয়ে একটা টোকেন দিবে । আপনি মন্দির দর্শন শেষে আবার টোকেন দেখিয়ে আপনার জিনিস নিয়ে যাবেন।
আপনাদের জন্য লিখে আমার ভাল লাগলো। ভবিষ্যতে আরও ভেলোরে চিকিৎসা সম্পর্কে লিখা পাবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভারতের সকল হসপিটালের তথ্য পাবেন। আপনার সফল ভ্রমণ কামনা করি।
ভেলোর টিপু সুলতান:
ভেলোর টিপু সুলতান ভেলোর শহরের পাশেই অবস্থিত আপনার হোটেল থেকে পায়ে হেঁটে টিপু সুলতানের যেতে আপনার সময় লাগবে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ মিনিট । ভেলোর টিপু সুলতান এ খুবই সুন্দর একটা মন্দির আছে এবং এবং বাড়ির পুরুটাই দুর্গ।
প্রিয় পাঠক, আপনিও স্বাস্থ্য কথা অনলাইনের লেখক হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইল ,ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং ছবিসহ মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে। আমরাও আপনার উপর কৃতজ্ঞ থাকবো।
অনেক তথ্যবহুল ও উপকারী আলোচনা করেছেন। আমাদের মত অনেকরই কাজে আসবে।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ