পুষ্টির চমৎকার উৎস সমূহের মধ্যে বাদাম হচ্ছে অন্যতম। এর মধ্যে রয়েছে মিনারেল, ভিটামিন , আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড ও ক্যালসিয়াম। তাই বিশেষজ্ঞরা সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন অন্তত একমুঠো করে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । এবং বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সবসময় ডাক্তাররা বলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সব ধরনের বাদাম খাওয়া উচিত নয়। তবে কিছু কিছু বাদাম রয়েছে, যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। বাদাম সচেতন ভাবে খেলে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা :
চিনাবাদাম :
চিনাবাদাম প্রোটোকল ও আঁশের চমৎকার উৎস। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিনাবাদাম খুবই উপকারী। এটি রক্তের সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ২৫থেকে ৩০ টি কাঁচা বাদাম খেলে উপকার পাওয়া যায়।
ওয়ালনাট:
ওয়ালনাটের মধ্যে উচ্চ পরিমাণের ক্যালরি পাওয়া যায়। তবে এটি তেমন ওজন বাড়ায় না। ওবেসিটি অ্যান্ড মেটাবোলিজম জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, ওয়ালনাট খেলে পেট ভরা ভরা লাগে এবং অন্য খাবার খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, এটি ইনসুলিনের মাত্রা ঠিকঠাক রাখতে কাজ করে।
কাঠবাদামের উপকারিতা:
ছোট একটি খাবার কিন্তু এত গুণ! কাঠ বাদামের গুনের কথা আমাদের অনেকেরই অজানা। এই এক বাদামের উপকারিতা শুনলে অবাক হবেন আপনি।
কাঠ বাদামের সবচেয়ে শক্তিশালী গুণ হল, এটি মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং এতে পটাশিয়াম ও ভিটামিন ই থাকার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, এ, বি১, বি৬ ও ম্যাগনেশিয়াম যার ফলে চুল ভাল থাকে এবং চুল গোড়া থেকে সুস্থ রাখে ও তাড়াতাড়ি বাড়ে। এছাড়া ভিটামিন ই থাকার কারণে ত্বক সুন্দর রাখে এবং মুখে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।প্রচুর পরিমাণে নিউট্রিশনে ভরা এই কাঠবাদাম আপনাকে করে তুলতে পারে সতেজ ও লাবণ্যময়।
খিদে পেলে অল্প করে কাঠবাদাম খেয়ে নিন এতে খিদে যাবে ও এনার্জি লেভেল ও ঠিক থাকবে। প্রোটিনযুক্ত এই বাদাম খেলে সুগার লেভেল ও ঠিক থাকবে এবং ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। কোলেস্টেরল লেভেলও ঠিক রাখতে পারে কাঠবাদাম। এর মধ্যে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্রোটিন যা হার্টকে সুস্থ ও সবল রাখে। হজমের জন্যও কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। এর মধ্যে যে ফাইবার রয়েছে, তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
তাছাড়া বাদাম কোলেস্টেরল কমায়, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে, ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই বাদামের উপকারিতা অনেক।
বাদামে কত ক্যালরি থাকে ?
বাদামে বেশিরভাগ অসম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে। এই ধরণের চর্বি হৃদরোগের মতো বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষার সাথে জড়িত।
কিছু সাধারণ খাওয়া বাদাম এর ক্যালোরি এক আউন্স (২৮-গ্রাম) প্রতি ক্যালোরি এবং ফ্যাট এর পরিমান নীচে দেখানো হয়েছে:
আখরোট: ১৮৩ ক্যালোরি এবং ১৮ গ্রাম ফ্যাট।
ব্রাজিল বাদাম: ১৮৪ ক্যালোরি এবং ১৯ গ্রাম ফ্যাট।
বাদাম: ১৬১ ক্যালোরি এবং ১৪ গ্রাম ফ্যাট।
পিস্তা: ১৫৬ ক্যালোরি এবং ১২ গ্রাম ফ্যাট।
কাজু: ১৫৫ ক্যালোরি এবং ১২ গ্রাম ফ্যাট।
<
p style=”text-align: left;”>প্রিয় পাঠক, আপনিও স্বাস্থ্য কথা অনলাইনের লেখক হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইল ,ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং ছবিসহ মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে। আমরাও আপনার উপর কৃতজ্ঞ থাকবো।