আপেলের উপকারিতা এবং পুষ্টি উপাদান ।

| |

আপেল প্রধানত লাল ও সবুজ দুই রংয়ের হয়ে থাকে। লাল আপেলের উপকারিতা ও গুণাবলী সম্পর্কে হতো আমরা সবাই কিছু টা জানি। কিন্তু সবুজ আপেলের বিশেষ গুণগুলো সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই। আজ আমরা জানবো , মানবদেহের সুস্থতায় সবুজ আপেলের গুণাবলী সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

‘পেট ভরলেই শরীর ভালো থাকে ।’ এটি একটি আমাদের মারাত্মক ভুল ধারণা। আমরা পেট ভরতে রিচ ফুডের দ্বারস্থ হয় যা আমাদের শরীরের ওপর ব্যাপক খারাপ প্রভাব ফেলে। আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে হাজারো রোগ । ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১০০-এরও বেশি খাবারের ওপর গবেষণা চালায় । মূলত  কোন খাবার গুলির মধ্যে  কী পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, তা জানতেই এই গবেষণা করা হয়েছিল। অবস্থানের কথা চিন্তা করলে  লাল এবং সবুজ আপেল যথাক্রমে ১২ এবং ১৩ তম স্থানে রয়েছে।

আপেলের ব্যাকটেরিয়া:

একটি গবেষণায় দেখা যায় । আপেলে ফ্রন্টিয়ারস নামে মাইক্রোবায়োলজির উপস্থিতি প্রকাশ পাওয়া যায়। একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, অর্গানিক পদ্ধতিতে অর্থাৎ জৈব উপায়ে যে সমস্ত আপেলের চাষ হয়, সে সব ক্ষেত্রে আপেলের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বৈচিত্র অনেক গুন  বেশি। আর তার মধ্যে অধিকাংশই আমাদের মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত  উপকারী। ফলে আপেলের গুণগত মান ও স্বাদ, দুই–ই উৎকৃষ্টতর । তাছাড়া , জৈব পদ্ধতিতে চাষ সবসময়ই পরিবেশ বান্ধব।

অস্ট্রিয়ার গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্যাবরিয়েল বার্জ এই প্রসঙ্গে বলেছেন , ‘ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাস আমাদের দেহের দখল নিয়ে নেয়। রান্না করা খাবার খেলে সে সব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া মারা  যায়। কিন্তু  যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো, সেগুলোও মরে যায়।’

সাধারণত ২৪০ গ্রাম একটি আপেলের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি ব্যাক্টেরিয়ার  উপস্থিতি  থাকে। যার মধ্যে মধ্যে ৯০ শতাংশই থাকে আপেলের বীজে। সুতরাং যদি আপনি বীজ ফেলে আপেল খান তাহলে মাত্র দশ ভাগের এক ভাগ ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরে প্রবেশ করছে । আর জৈব উপায়ে চাষ করা আপেলে ব্যাক্টেরিয়ার বৈচিত্র অনেক।

যে আপেলে রাসায়নিক সার, কীটনাশক নেই, সে আপেলে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাসের বৈচিত্র এবং পরিমাণ, দুই–ই বেশি থাকে । ফলে আমাদের কাছে এ ধরনের আপেলের উপকারিতাও অনেক বেশি। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।তাই আপেলের উপকারিতা অনস্বীকার্য। 

আপেলের উপকারীতা:

সবুজ আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার:

সবুজ আপেলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপদান হল ফাইবার, যা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এই আপেলে। যদিও লাল আপেলেও এই ধরণের ফাইবারের উপস্থিত আছে।  এই ফাইবার উপাদান আমাদের পেটের যে কোন ধরণের সমস্যা দুর করতে সাহায্য করে।  শরীরকে প্রাণচঞ্চল রাখে এবং  পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

আপেল কোলন ক্যানসার বা মলাশয়ের রোধ করে:

বিভিন্ন ক্যান্সারজনিত কারন যেমন পরিবেশ বা বংশগত প্রভাবের কারণে মলাশয়ের মিউকোসাল এপিথেলিয়ামের টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট  টিউমারে পরিণত হলে তখন তাকে কোলন বা মলাশয়ের ক্যান্সার বলা হয় । সবুজ আপেলের ফাইবার উপাদান আমাদের শরীরকে কোলন ক্যানসার থেকে মুক্ত রাখে।  এবং আমাদের সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তাছাড়া ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেল যথেষ্ট কার্যকরী। যারা বেশি বেশি আপেল খায় তাদের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একদম কমে যায়।

আপেল ক্ষতিকর কোলেস্টেরল মুক্ত:

কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের এক ধরনের বিশেষ  চর্বি। এটি দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম। এটি আমাদের দেহের কোষের দেয়ালে থাকে এবং বাধা প্রদান করে ।

আরো দেখুনঃ   মাইগ্রেনের ব্যথা ? তেজপাতার চা খুবই উপকারী

আমরা যখন চর্বিজাতীয় খাবার খাই, তখন আমাদের যকৃতে এই কোলেস্টেরল তৈরি হয় এবং রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে আমাদের দেহের সমস্ত রক্তনালিতে ছড়িয়ে পড়ে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। যেমন : হরমোন তৈরিতে, চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিনগুলোর পরিপাকে এবং ভিটামিন ডি তৈরিতে।

কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টরেল শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই সবুজ আপেল আমাদের পেটের সুস্থতা বজায় রাখে। তাছাড়া এই আপেলের মধ্যে কোন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই যা আমাদের দেহের জন্য খারাপ।

তাই আপনি নিশ্চিন্তে ডায়েট করতে পারেন সবুজ আপেল খেয়ে। যেহেতু সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপাদান আছে তা দেহের কোলেস্টেরল মাত্রার ভারসম্য বজায় রাখে। ডায়েটের সময় আপেলের উপকারিতা প্রত্যক্ষ। 

সহজেই হজম হয়:

আপনি ফার্স্ট ফুড কিংবা খুব ভারী কোন খাবার খেয়েছেন? টেনশন করছেন হজম হবে কিনা ঠিকমত? আপনার  চিন্তার কোন কারণ নেই, আপনি একটি সবুজ আপেল খেয়ে নিন। কারণ সবুজ আপেলে আছে প্রচুর এনজাইম উপাদান, যা খুব দ্রুত খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। 

আপেল লিভার ও নালীর সমস্যা রোধ করে:

সবুজ আপেল আমাদের দেহের লিভারের যে ধরণের কোন সমস্যা দূর করে এবং পাশাপাশি পরিপাক নালী, খাদ্য নালী ও অন্যান্য নালীর সমস্যা দূর করে আমাদের সুস্থ রাখে।

আপেল রোগ প্রতিরোধ করে:

কিছুতেই পেট পরিষ্কার হয় না। তাহলে এই দুই সমস্যারই একটাই ওষুধ। সবুজ আপেল ডায়রিয়ার সমস্যা রোধ করে । কারণ সবুজ আপেলে রয়েছে এনজাইম উপাদান যা খুব দ্রুত খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে।কোষ্ঠকাঠিণ্য ও বাতের সমস্যা দূর করে এবং বদ হজমের সমস্যাও দূর করে।

আপেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:

আপেল এমন একটি ফল যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে  অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫০০ গ্রাম ভিটামিন সি- তে যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে তার চেয়ে অনেক গুন্ বেশী পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে ১টি লাল আপেলের খোসার মধ্যে।

তাছাড়া আপেলে প্রচুর ফেনলিক এসিড এবং ফ্লাভেনয়েডস রয়েছে যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণাগুণ সম্পন্ন। তাছাড়া সবুজ আপেলে আছে ফ্লেভনয়েড ও পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপদান দুটি আমাদের দেহের ডিএনএ এর ক্ষতি রোধ করে এবং ক্যানসার রোধ করে।

আপেল ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে:

ডায়েটে আপেল খুবই উপকারী। কারণ আপেল খুবই উপকারী এবং ক্ষুধা নিবারণ করে। সবুজ আপেলের জৈব এসিড উপাদান আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যদি কারও বার বার ক্ষুধা লাগার সমস্যা থাকে তাহলে সবুজ আপেল খেয়ে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যায় খুব সহজেই।

আপেল দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে:

সবুজ আপেল আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়। আপেলের অন্যতম উপদান কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারি। বিশেষ করে যারা কঠোর পরিশ্রম করেন, খেলাধুলা করেন তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ আপেল অবশ্যই রাখবেন ।ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। 

আপেল স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধক:

আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধেও অন্যতম সহায়ক।গবেষণায় দেখা যায়, যেসব মহিলা প্রতিদিন একটি আপেল খান তাদের অন্যদের চেয়ে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা ২১ শতাংশ কমে যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আপেলের সংখ্যা যত বাড়বে স্তন ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কাও তত কমবে।

প্রতিদিন তিনটি আপেল খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা  ৩৯ শতাংশ কমে যায়। আর সংখ্যাটা যদি ছয় হয় তাহলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা নেমে আসে ৪৪ শতাংশে।
ওজন কমানো:

আগেই বলেছি ডায়েটে আপেল অনেক উপকারী। ওজন কমাতে অনেকেই খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেন । আপেল তাদের জন্য খুবই কার্যকারী । কেননা আপেল ওজন কমানোর লড়াইয়ে দারুণ কার্যকরী ফল । বিশেষ করে যেসব মহিলা ওজন কমাতে চায় তারা দৈনিক তিনটি আপেল খেলে তাদের ডায়েটের চেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

আপেল অ্যাজমা প্রতিরোধে:

যেসব শিশু প্রতিদিন আপেলের রস খায় অন্যদের চেয়ে তাদের অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, যেসব মা সন্তান গর্ভাবস্থায়  বেশি আপেল খায় তাদের সন্তানেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে।

আরো দেখুনঃ   গরমে পেট ঠান্ডা রাখার উপায়

আপেল ডায়াবেটিসের সমস্যা কমায়:

যারা প্রতিদিন আপেল খান, তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ২৯% কমে যায়। কারণ, আপেলের মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা  রক্তে শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই আপেলের উপকারিতা প্রতীয়মান।

আপেল গলস্টোন সারাতে সাহায্য করে:

 পিত্তথলির মধ্যে অতি পরিমাণে কোলেস্টেরল জমে গেলে তখন গলস্টোন হয়। গলস্টোন কমানোর জন্য ডাক্তাররা সব সময় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল বা খাবার খাওয়ার উপদেশ দেন। সেই সঙ্গে গলস্টোন সারাতে ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এই সবকটি কাজ যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে আপেলের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।

আপেল ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে:

আপনি কি সারাদিনে বারে বারে বাথরুমেই যেতে থাকেন? কোনও কিছু খেলেই বাথরুমে দৌড়াতে হয়? আবার এমনও কি হয়, যখন বাথরুমে গেলেন তখন দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়? অথচ কিছুতেই পেট পরিষ্কার হয় না। তাহলে এই দুই সমস্যারই একটাই ওষুধ। তা হল, আপেল, যা প্রয়োজন অনুযায়ী বর্জ্য থেকে অতিরিক্ত পানি টেনে রাখতে পারে। ফলে একদিকে যেমন অতিরিক্ত বার বাথরুমে যেতে হয় না, তেমনিই হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।

সাদা ঝকঝকে দাঁত:

 আপেল খেলে দাঁতের দারুণ উপকার হয়। কারণ, আপেলে কামড় দিয়ে চিবাতে শুরু করলে আমাদের মুখের ভেতরে লালার সৃষ্টি হয়। এই পদ্ধতিতে দাঁতের কোণা থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসে। ফলে সেই ব্যাকটেরিয়া আর দাঁতের কোনো ক্ষতি করতে পারেনা। তাই বলে শুধু আপেল খেয়ে দাঁতের যত্ন নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। অবশ্যই নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

আপেলের বীজ খাওয়ার সতর্কতা:

  • আপেলের বীজ থেকে একটু সাবধান। কারন অতিরিক্ত আপেলের বিজ ড্রাগ অর্থাৎ সায়ানাইডের ভূমিকা নিতে পারে। আপেলের বীজ দিয়ে নানা ধরনের ড্রাগ উৎপন্ন করা হয়। সাধারনত ১০০ টি বীজ খেলে এর প্রভাব শরীরে পরতে পারে। তাই আপেলের বীজ এড়িয়ে চলাই ভালো।
  • সাধারনত গর্ভবতী ও স্তন্যপান করানো মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপেল খাবেন।

আপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম :

আপেল সিডার ভিনেগার হাজার বছর ধরে রান্না এবং প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেকের দাবি, এর ওজন হ্রাস, রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করা, বদহজম থেকে মুক্তি এবং হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস সহ স্বাস্থ্যগত সুবিধা রয়েছে।

এর অনেকগুলি সম্ভাব্য ব্যবহার সহ, প্রতিদিন অ্যাপল সিডার ভিনেগার কত পরিমাণে নেওয়া উচিত তা বলা মুশকিল।

এই আর্টিকেল বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য আপনার কতটা আপেল সিডার ভিনেগার পান করা উচিত এবং এর পাশাপাশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি এড়ানোর সর্বোত্তম রূপরেখা দেয়।

ব্লাড সুগার ম্যানেজমেন্টের জন্য:

অ্যাপল সিডার ভিনেগার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক উপায় হিসাবে কাজ করে , বিশেষ করে যারা ইন্সুলিন নিচ্ছেন।

যখন উচ্চ-কার্ব খাবারের আগে নেওয়া হয়, ভিনেগার আপনার পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার স্পাইকগুলি প্রতিরোধ করে।

চার-চা-চামচ (20 মিলি) আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশ্রিত করা উচ্চ-কার্ব খাবারের পাশাপাশি রক্তে শর্করার হ্রাস করতে পারে।

ওজন হ্রাস জন্য :

ভিনেগার পুরোপুরি খাবার অনুভূতি কমিয়ে দেয় এবং সারা দিন খাবারের পরিমাণ হ্রাস করে ওজন হ্রাস করে ।

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, তিন মাস ধরে প্রতিদিন এক বা দুটি টেবিল চামচ (১৫ বা ৩০ মিলি) আপেল সিডার ভিনেগার প্রাপ্তবয়স্কদের ওজন যথাক্রমে গড়ে ২.৬ এবং ৩.৭ পাউন্ড (১.২ এবং ১.৭ কেজি) কমাতে সহায়তা করে।

কয়েক মাস 1-2 টেবিল চ্যাম্প (১৫-৩০ মিলি) আপেল সিডার ভিনেগার পান করলে ওজন অনেক হ্রাস করা সম্বভ হয় ।

উন্নত হজমের জন্য :

হজম উন্নতির জন্য অনেকে প্রোটিন-ভারী খাবারের আগে আপেল সিডার ভিনেগার গ্রহণ করেন।

আরো দেখুনঃ   সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার উপকারিতা | সামুদ্রিক মাছ কেন খাবেন

আপেল সিডার ভিনেগার আপনার পাকস্থলীর অম্লতা বাড়ায় যা আপনার শরীরকে আরও পেপসিন তৈরি করতে সহায়তা করে, এনজাইম যা প্রোটিনকে ভেঙে দেয় ।

হজমের জন্য ভিনেগার ব্যবহারকে সমর্থন করার জন্য কোন গবেষণা নেই, তবে অন্যান্য অম্লীয় পরিপূরক, যেমন: বেটেইন এইচসিএল, পেটের অম্লতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

কেউ কেউ দাবি করেন যে খাবারের আগে এক থেকে দুই টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পান করা হজমে সহায়তা করতে পারে।

সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য :

আপেল সিডার ভিনেগার গ্রহণের অন্যান্য জনপ্রিয় কারণগুলির মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করা, ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা। তবে এই দাবিকে সমর্থন করার জন্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং মানুষের জন্য কোনও প্রস্তাবিত ডোজ উপলব্ধ নেই।

প্রাণী এবং টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ভিনেগার হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে, ক্যান্সারের সাথে লড়াই করতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ধীর করতে পারে, তবে মানুষের মধ্যে কোনও গবেষণা করা হয়নি।

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত ভিনেগার ভিত্তিক ড্রেসিং সহ সালাদ খান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে এবং পেটের ফ্যাট কম থাকে। তবে এটি অন্যান্য কারণেও হতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে সেরা অভ্যাস গুলি :

আপেল সিডার ভিনেগার সেবন করা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ তবে কিছু লোকের মধ্যে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপেল সিডার ভিনেগার স্বল্প পরিমাণে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ তবে দাঁতের এনামেলটি ক্ষয় করতে পারে বা কিছু লোকের পেট খারাপ করতে পারে। দীর্ঘসময় ধরে বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা বড় পরিমাণে অনিরাপদ ।

Previous

লাউয়ের বড়ি দিয়ে টক কিভাবে করবেন।

পেয়ারার উপকারিতা জেনে নিই

Next

Leave a Comment