শীতে সুস্থ থাকতে হলে নিজের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে শীতে জ্বর, সর্দি এবং কাশি যেন আমাদের পিছু ছাড়ে না এই সময় প্রধানত বাড়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ। ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হলে যেসব খাবার খাবেন সেই বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা।
যদিও এসব রোগের প্রধান এবং অন্যতম কারণ ভাইরাস। সাধারণত ঠাণ্ডা ও ফ্লুর কারণে কাশি হয়। তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একবার কাশি শুরু হলে যেন পিছু ছাড়তেই চায় না। একটানা কাশি আমাদের মাঝে খুবই বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।
ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হলে শরীর জমে যায় এবং আলসেমি লাগে খুব বেশি। মনে হয় সামান্য কোনো কাজ করারও শক্তি নেই শরীরে নেই এবং মেজাজ খিটখিটে থাকে । এ অবস্থায় কয়েকটি খাবার খেলে আপনাকে রাখবে এবং আপনাকে দেবে প্রাণশক্তি।
ডিম:
ডিম একটি সহজলভ্য ও উন্নতমানের আমিষ জাতীয় খাদ্য; যাতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভিটামিন, যা দেহগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সব ধরনের ডিমে রয়েছে অতি মূল্যবান ওমেগা-৩, যা হৃৎপিণ্ডকে কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। এসকল পুষ্টির কারনে ডিমের উপকারিতা অনেক। তাছাড়া হাঁসের ডিমের উপকারিতা আরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঠাণ্ডায় খুব উপকারী খাবার হলো ডিম। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। শুধু ঠাণ্ডা নয়, যেকোনো রোগে আপনার শরীরে বাড়তি শক্তি যোগাবে ডিম। এজন্য ঠাণ্ডায় ডিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কলা:
কলা বিভিন্ন গুণাগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অধিক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপদান যথা আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ। কলা ক্যালরির একটি ভাল উৎস। কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। এছাড়া ফাইবার ও ভিটামিন-বি-সিক্স উপাদানও আছে এতে যা একজন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করে তোলে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, ঠাণ্ডায় বিষণ্ণ মনকে চাঙ্গা করে তুলতে পাকা কলার উপকারিতা খুবই কার্যকরী।
মিষ্টি আলু:
আপনি হয়তো জানেন, প্রকৃতির অন্যতম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হলো মিষ্টি আলু। এতে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান আছে যা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এজন্য ঠাণ্ডায় নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরে স্বস্তি আসবে।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর এই পরিবর্তনের এ সময়টাতে অনেকেই নানা অসুখে ভুগতে শুরু করেন। শীতের এই আসন্ন সময়টা অনেক মানুষকে প্রায়ই চরমভাবে ভোগায়। এসময়টাতে নানা অসুখ-বিসুখ মানুষকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দেয়। সাধারণত মধ্যবয়স থেকে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। ঠাণ্ডা লাগার পরে তা যদি বসে যায়, সেটা থেকে ব্রংকাইটিসের সমস্যা মাথাচাড়া দেয়।
চর্বিযুক্ত মাছ:
যারা চর্বিযুক্ত মাছকে ক্ষতিকর বলে মনে করেন।তাদের ধারণা, চর্বিযুক্ত মাছ স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি, চর্বিযুক্ত মাছের কোনো উপকারিতা নেই। তবে পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, মাছের চর্বিতে ক্ষতিকর উপাদান নয়, বরং রয়েছে উপকারী নানা গুণাগুণ। তাই চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়ারই পরামর্শ তাদের।
ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হলে নিজেকে সামান্যতম অসুস্থ মনে হলেও প্রচুর পরিমাণে চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটা আপনার শরীরকে এনে দেবে বাড়তি প্রশান্তি। চর্বিযুক্ত মাছ হিসেবে স্যালমন বা টুনা মাছ বেছে নিতে পারেন।
এস/এমকে / আরটিভি