কুমড়ো বড়ি দিয়ে আলু সয়াবিন রসা

| |

বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী রান্নার উপকরণ  হলো কুমড়োর বড়ি, যা দিয়ে মা – নানী তৈরি করতেন  নানা মজার রান্না!  মনে পড়ে সেই ছোটবেলায় মা- নানীদের দেখা যেত কুমড়ো দিয়ে বড়ি বানাতে। এ নিয়ে কি বিশাল তোড়জোড় চলতো ছোটদের মাঝে! কেনইবা চলবে না? একাজে ছোটদেরও হাত লাগাতে দিত যে! আর কি সুখের দিন!!

আচ্ছা কথা না বাড়িয়ে চলুন আজ জেনে নেই কিভাবে কুমড়োর বড়ি দিয়ে আলু ও সয়াবিনের রসা তৈরি করা হয়ঃ

উপকরণঃ 

১. সয়াবিন ২. আলু ৩. কুমড়ো বড়ি ৪. পেয়াজ কুচি ৫. রসুন বাটা ৬. আদা বাটা ৭. লবন ৮. হলুদ ৯. মরিচ গুড়া ১০. শুকনা মরিচ ১১. ধনিয়া গুড়া ১২. জিরা গুড়া ১৩. দারুচিনি ১৪. এলাচ ১৫. তেজপাতা ১৬. তেল ১৭. পানি।

কুমড়া বড়ি রেসিপি:

  • প্রথমে সয়াবিন ভালো করে ধুয়ে লবন দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ হলে পানি ঝরিয়ে আলাদা করে রাখতে হবে।
  • আরেক পাত্রে আলু ছোট ছোট কিউব করে কেটে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হলে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। 
  • কুমড়োর বড়ি ভালো করে  পানি দিয়ে ধুয়ে হালকা গরম পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • এখন একটি কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে একে একে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেয়াজ কুচি দিতে হবে। পেয়াজ হালকা বাদামী রঙ হলে তাতে একে একে রসুন বাটা, আদা বাটা, লবণ, হলুদ, মরিচ গুড়া, ধনিয়া গুড়া, জিরা গুড়া ও অল্প পানি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। 
  • মশলা কষানোর পর যখন উপরে তেল ভেসে উঠবে তখন আলু ও সয়াবিন একসাথে দিয়ে অল্প আরেকটু পানি দিয়ে আবার কষাতে হবে। 
  • আলু ও সয়াবিন কষানো হওয়ার পাশে অন্য চুলায় একটি ফ্রাইংপ্যান বসিয়ে তাতে অল্প তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে তাতে ভিজিয়ে রাখা কুমড়োর বড়ি কড়া লাল করে ভেজে নিতে হবে। 
  • এবার ভাজা কুমড়োর বড়ি আলু ও সয়াবিন কষাতে দিতে হবে এবং ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে আবার একটু পানি দিতে হবে।
  • পুরো তরকারীটা যখন মাখা মাখা হবে তখন পাশের চুলায় ফ্রাইংপ্যান দিয়ে তাতে শুকনা মরিচ ভেজে তরকারীর উপর দিয়ে দিতে হবে। একটু নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ফেলতে হবে।

ব্যস হয়ে গেলো মজাদার কুমড়োর বড়ি দিয়ে আলু ও সয়াবিনের রসা!

এই রেসিপি লিখেছেন : Nusrat E Goni Nandini

Previous

ন্যাপ্রোক্সেন – Naproxen ওষুধের কাজ কি ? এর ব্যবহার।

ডিমের রেসিপি : ডিম দিয়ে বেগুন ভর্তা

Next

Leave a Comment