সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহারে রোদের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করা সম্ভব। তবে যদি সঠিক পরিমাণ এসফিএফ সমৃদ্ধ হয়।
একটি ত্বক-বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সানস্ক্রিন ব্যবহারের উপকারিতা এবং ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানা যায়।
রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে:
রোদে থাকার ফলে ত্বকে পোড়াভাব দেখা দেওয়ার পাশাপাশি ফুস্কুরি, লালচেভাব, চুলকানিও হতে পারে। এগুলো থেকে রক্ষা দিতে পারে সানস্ক্রিন।
অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে:
সূর্যরশ্মি শরীরের ভিটামিন ডি তৈরিতে করতে সহায়তা করে। তবে বেশি সময় রোদে থাকা ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সানস্ক্রিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।
ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করে:
অতি বেগুনি রশ্মির জন্য ত্বকের সুরক্ষার স্তর ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে। ফলে ত্বকে নানা রকমের ক্ষতি হয় যেমন- ক্যান্সার বিশেষত, ‘মেলানোমা’ দেখা দেয়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক সুরক্ষিত থাকে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায় ।
বয়সের ছাপ দূর করে:
সবাই চায় তারুণ্যময়, উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর ত্বক ধরে রাখতে। অনেক গবেষক দাবি করেন ৫৫ বছর বয়সের নিচের যারা নিয়মিত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করে । তাদের ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যা শতকরা ২৫ ভাগ কমে যায়।
সানস্ক্রিন ব্যবহারের নিয়ম:
সানস্ক্রিন ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে সংবেদনশীল ত্বকে তা দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর পুনরায় ব্যবহার করতে হবে।
নিচে ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম সম্পর্কে জানানো হল।
- কোনো প্রসাধনীর মেয়াদ ও উপাদান না দেখে ক্রয় করা উচিত না। খেয়াল করতে হবে যেন টিটানিয়াম ডিঅক্সাইড, অক্টাইল মেথোক্সিসিনামেট (ও এম সি), অ্যাভোবেনজন ও জিঙ্ক অক্সাইড থাকে।
- সানস্ক্রিন যেন দীর্ঘস্থায়ী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তরল ভিত্তিক এস পি এফ ৩০ এর বেশি ব্যবহার করুন।
- আপনার ত্বক ব্রণ প্রবণ বা তৈলাক্ত হলে জেল বা পানি ভিত্তিক অথবা ‘নন-কমেডোজেনিক এবং হাইপোঅ্যালার্জেনিক সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- সমুদ্র সৈকতে বা বাইরে কড়া রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকতে চাইলে ত্বককে রোদের হাত থেকে বাঁচাতে চাইলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর ব্যবহার করুন।
- অবশ্যই সানস্ক্রিন যেন এস পি এফ ৩০ বা তার বেশি হয় এবং ‘ইউ ভি এ’ ও ‘ইউ ভি বি’ সমৃদ্ধ হয়। এবং তা যেন পানিরোধী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- বাইরে যাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।