সাধারণত খাবারের গন্ধ সুন্দর করার জন্য তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। তবে জানেন কি মাথাব্যথা, বিশেষ করে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে তেজপাতার চা এর গুণাগুণ। মাইগ্রেনের ব্যথায় তেজপাতার চা অনেক উপকারী ।
তেজপাতার মধ্যে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। খাবারের মধ্যে এই পাতার নিয়মিত ব্যবহার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। তবে আপনি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে তেজপাতার চা পান করে দেখতে পারেন।
মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে তেজপাতার চা তৈরি করার প্রণালি জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ান মিলিয়্ন হেলথ টিপস।
উপাদান:
১. তিনটি তেজপাতা।
২. দুটি ছোট লেবু (কেটে নিতে হবে)।
৩. ১৬ আউন্স পানি।
প্রস্তুতপ্রণালী :
- একটি পাত্রের মধ্যে সব উপাদান নিয়ে সেদ্ধ করুন।
- ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠান্ডা হতে দিন।
- এবার চা পান করুন। মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে নিয়মিত পান করতে পারেন তেজপাতার চা।
যেসব খাবার মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধ করে:
- নিয়মিত ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান । যেমন: ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, গাঢ় সবুজ শাক, মাছ,আলু ও বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক।
- বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে ,খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে।
- সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি বিশেষত পালংশাক নিয়মিত খান।
- ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, রাগি আটা, বিট প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে।
- আদার টুকরো বা রস দিনে দুবার জিঞ্চার পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া তেজপাতার চা তো আছেই।
মাইগ্রেনের সমস্যায় যেসব এড়িয়ে চলবেন:
- কফি, চা ও কোমলপানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, দুধ, দই, মাখন, টমেটো ও তেতুল টক জাতীয় ফল খাবেন না।
- গম জাতীয় খাবার, যেমন রুটি, পাস্তা, ব্রেড ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। (রোগীভেদে অনেকেরই সমস্যা হয় )
- আপেল, কলা ও চিনাবাদাম খাওয়া পরিহার করুন।
- পেঁয়াজ খাবেন না। কাঁচা পেঁয়াজ মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।
তবে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি নোট করে রাখতে পারেন যেমন, কোন খাবারে কোন পারিপার্শ্বিক ঘটনায় ব্যথা বাড়ছে বা কমছে। এ রকম এক সপ্তাহ নোট করলে আপনি নিজেই নিজের সমাধান পেয়ে যাবেন। তবে ব্যথা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মাইগ্রেন থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায়:
- মাইগ্রেন চিকিৎসায় প্রতিরোধক ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন সঠিক ভাবে মেনে চললে সমস্যা অনেক কমে যায়।
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত। ৬/৭ ঘন্টা সর্বোচ্চ ঘুমান। ।
- কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা থাকা পরিহার করতে হবে। তবে নিয়মিত ১০ মিনিট রোদে থাকা ভালো।
- অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।
- উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না।
- বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।
- মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- বিশ্রাম করা, ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখা উচিত।
প্রিয় পাঠক, আপনিও স্বাস্থ্য কথা অনলাইনের লেখক হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইল ,ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং ছবিসহ মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে। আমরাও আপনার উপর কৃতজ্ঞ থাকবো।